এখন ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট বাংলাদেশ।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগ এবং কোডারসট্রাস্ট বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে কাজ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ ও কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন কায়ো ফেবিগ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির এমআইএস বিভাগের অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেন ও কোডারসট্রাস্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আতাউল গণি ওসমানী।
জন কায়ো ফেবিগ বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে সম্ভাবনা ও মেধা রয়েছে। তাঁদের সঠিকভাবে পথ দেখানো গেলে ভবিষ্যতে তাঁরা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। মার্কেটপ্লেসগুলোর চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কাজ পেতে সব ধরনের সহযোগিতার লক্ষ্যে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট।
মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই উদ্যোগের ফলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
কোডারসট্রাস্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোডারসট্রাস্টের প্রশিক্ষণ ঢাকা ছাড়িয়ে এখন চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিস্তৃত হয়েছে। ২০১৭ সালে কোডারসট্রাস্টের লক্ষ্য হচ্ছে আরও বেশি ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা।
কোডারসট্রাস্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আতাউল গণি ওসমানী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে কোডারসট্রাস্টের সব কোর্স অনলাইনে লাইভ ক্লাসে আনা হবে। ক্লাসে আসার পরিবর্তে আমরা ক্লাসটাই শিক্ষার্থীদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।’
কোডারসট্রাস্ট বাংলাদেশ তিন বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এখানকার ৫০০ জনের বেশি ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন এবং বর্তমানে এক হাজারের বেশি প্রশিক্ষণার্থী কোডারসট্রাস্ট ‘লার্ন অ্যান্ড আর্ন’ সেন্টারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
কোডারসট্রাস্ট ডেনমার্কভিত্তিক কোম্পানি হলেও বাংলাদেশের সফলতার ওপর ভিত্তি করে আরও ছয়টি দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
Source:Prothom-alo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন